উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত‍্যু বাবা ও ছেলের , জখম ৩

18th October 2020 9:10 pm বর্ধমান
উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত‍্যু বাবা ও ছেলের , জখম ৩


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  চার চাকা গাড়ি চড়ে স্বপরিবার কর্মস্থল  উত্তরপ্রদেশ যাবার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবা ও ছেলেরে । মৃতরা হলেন ইসলাম সেখ (৪৫) ও ইনামুল সেখ (১৫)। গুরুতর জখম হয়েছেন ইসলামের স্ত্রী রেজিনা বিবি , মেয়ে তাসমিন খাতুন ও রেজিনার ভাই আলী সেখ । দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জাতীয় সড়কে বিহারের ঔরঙ্গাবাদে । মৃত ও জখমরা সকলেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার নিমো ১ পঞ্চায়েতের কাঁঠালগাছি গ্রামের বাসিন্দা ।রবিবার সকালে বাবা ও ছেলের মৃতদেহ পৌছায় কাঁঠালগাছি গ্রামের বাড়িতে । জখম পরিবার সদস্যদের বিহারের ঔরঙ্গাবাদ  থেকে উদ্ধার করে এনে এদিন ভর্তি করা হয়ে বর্ধমানের বাইপাশের ধারে একটি বেসরকারী নার্সিং হোমে । এই ঘটনায় কাঁঠালগাছি গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।  মৃত ইসলাম সেখের ভাই দিলু সেখ এদিন বলেন ,উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে তাঁর দাদার সোনার গহনা ব্যবসার প্রতিষ্ঠান রয়েছে ।সেই কারণে  স্বপরিবার ইসলাম ঝাঁসিতেই থাকতেন ।করোনা অতিমারির কারণে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হলে ইসলাম তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে স্বপরিবার কাঁঠালগাছি গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন । লকডাউন ওঠার পর বর্তমানে ঝাঁসিতে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে ।  দোকান বাজারও চালু হয়েছে ।দিলু  বলেন , দীর্ঘদিন সোনার গহনা ব্যবসার প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁর দাদা ইসলামের আর্থিক ক্ষতির পরিমান বাড়ছিল । সেই কারণে দাদা ঝাঁসিতে ফিরে গিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করার  সিদ্ধান্ত নেন।দিলু জানান, আগে বাড়িতে আসলে  তাঁর দাদা পরিবার সদস্যদের নিয়ে ট্রেনে চড়েই ঝাঁসি যাতায়াত করতেন ।কিন্তু এখন ট্রেন না চলায় ঝাঁসি  পৌছানোর জন্য তাঁর দাদাকে চারচাকা গাড়ি ভাড়া করতে হয় । শুক্রবার রাতে দাদা স্বপরিবার চারচাকা  গাড়িতে চড়ে মেমারির কাঁঠালগাছি থেকে ঝাঁসির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ।  জাতীয় সড়কে বিহারের ঔরঙ্গাবাদে ঘটে যায় ভয়াভহ পথ দুর্ঘটনা । দিলু সেখ জানান,তাঁর দাদা স্বপরিবার যে গাড়িতে  ছিল সেই গাড়ি চালাতে চালাতেই চালক ঘুমিয়ে পড়ে। তখনই গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিতে । ঘটনাস্থলেই তাঁর দাদা ও ভাইপোর মৃত্যু হয় । গুরুতর জখম হয় দাদার স্ত্রী ,মেয়ে ও শ্যালক ।তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক । চিকিৎসার জন্য জখমদের সবাইকে উদ্ধার করে বর্ধমানে আনা হয়েছে ।বিহারের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে গাড়ির চালক । এদিনই কাঁঠালগাছি গ্রামের কবর স্থানে বাবা ও ছেলের মৃতদেহ কবরস্থ করা হয় । মেমারি থানার পুলিশও দুর্ঘটনার বিষয়ে সবিস্তার খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।